বাংলাদেশ!!
একটা স্বাধীন দেশ।
পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের কি কি করতে হয়েছে আমরা প্রায় সকলেই জানি। এই স্বাধীনতা অর্জনের পথে এসেছে অনেক বাধা বিপত্তি। আমরা এই স্বাধীনতার অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম জানি। অগ্নিঝরা মার্চ, ৭ই মার্চের সেই শিহরণ জাগানো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, তারপর সেই ২৫শে মার্চের কালো রাত, তারপর সেই ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি তো মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানের কারাগারে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এতবড় একটা যুদ্ধকে সংঘঠিত করার পিছনে কার অবদান? কিভাবে সংঘঠিত হলো এতবড় একটি স্বাধীনতা সংগ্রাম?
বঙ্গবন্ধুর পরে সবচেয়ে বড় যে নক্ষত্র, তিনি হচ্ছেন সেই মুকুট নামের মানুষটি। তিনি আর কেউ নন, তিনি আমাদের তাজউদ্দিন আহমেদ। তার একটাই ভালোবাসা, একটাই স্বপ্ন, তা হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাকে স্বাধীন করতে তার অবদানের কথা আপনি যেভাবেই বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে কম বলা হবে। অনেক বাধা, বিপত্তি, রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন তার লক্ষ্যে। লক্ষ্য একটাই, স্বাধীনতা। তিনি অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমাদের এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। মীর জাফরের মতো কিছু কুলাঙ্গার, কুচক্রী আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করতে সর্বদাই সচেষ্ট ছিল। কিন্তু লক্ষ্য যখন একটাই, আর সেটা স্বাধীনতা, তখন কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি এই মুকুট নামের মানুষটিকে এবং এই বীর জাতিকে।
আমাদের রুমী, তারেক, দুলুর মতো লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হলো স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার পর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক কাজ করতে হয়, কখনো সততার সাথে আপোষ না করা এই নক্ষত্রকে দিতে হয়েছে চরম মূল্য। পদে পদে বাধা বিপত্তি এসেছে, কিন্তু তিনি অবিচল থেকেছেন তার সততা, নিষ্ঠা এবং ন্যায়পরায়নতায়। তারপরও দূর্বোধ্য মানুষ ছিলেন তাজউদ্দিন। ইতিহাসের বরপুত্র শেখ মুজিবের অনন্যসাধারন ব্যক্তিত্বের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন বলে নিজ সময়ে তাজউদ্দিন আহমেদকে পাঠ করা হয়ে ওঠেনি মানুষের।
যে বই নিয়ে এতক্ষণ আলোচনা করলাম তার নাম ‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’। উপন্যাসটি ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে গল্প আকারে লিখে পড়ার আগ্রহকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সুহান রিজওয়ান এবং প্রতিটি অধ্যায়েরই দিয়েছেন একেকটু সুন্দর নাম। সুহান রিজওয়ান-এর এই উপন্যাসটি পড়ে তাজউদ্দিন আহমেদ এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গোটা সময়কালের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
লেখকঃ সুহান রিজওয়ান
প্রকাশকঃ শুদ্ধস্বর
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আমাদের স্বাধীনতা এবং একজন মুকুট নামের মানুষ
Saykat Mazumder https://bookshelvez.com//Attachments/BookCovers/1332.jpgপশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের কি কি করতে হয়েছে আমরা প্রায় সকলেই জানি। এই স্বাধীনতা অর্জনের পথে এসেছে অনেক বাধা বিপত্তি। আমরা এই স্বাধীনতার অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম জানি। অগ্নিঝরা মার্চ, ৭ই মার্চের সেই শিহরণ জাগানো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, তারপর সেই ২৫শে মার্চের কালো রাত, তারপর সেই ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তিনি তো মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন বন্দি অবস্থায় পাকিস্তানের কারাগারে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এতবড় একটা যুদ্ধকে সংঘঠিত করার পিছনে কার অবদান? কিভাবে সংঘঠিত হলো এতবড় একটি স্বাধীনতা সংগ্রাম?
আমাদের স্বাধীনতা এবং একজন মুকুট নামের মানুষ
https://bookshelvez.com//Attachments/BookCovers/1332.jpg