প্রস্তাবনাতে লেখক আতাউর রহমান সিহাব যা বলেছেন তার পুরোটাই সত্য। বিবলিকাল ফিকশনের আদলে তিনি আসলে সৃষ্টির আদি থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ঘটতে থাকা সকল ঘটনাকেই সংযুক্ত করেছেন সূক্ষ্ম একটি সুতোয়। আসলেই তো এমন হতে পারে, একটি ঘটনা আমরা যেমনভাবে দেখছি, আসলে ঠিক তেমনটাই নয়। আরো সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে হয়ত বেরিয়ে আসতে পারে ঘটনার অন্তরালের অনেক অজানা ঘটনা। আবার এমনও হতে পারে, আমি বা আপনি নিজেদেরকে যেখানে দেখছি বা নিজেদেরকে যা ভাবছি তার চেয়েও বড় কোন ঘটনার জন্যেই আমাদের আগমন। হয়ত বা এমনও হতে পারে, নিজেদেরকে আমরা যা ভাবছি আদতে আমরা তা নই!
পালিয়ে তিনি গিয়েছিলেন বটে, তবে তা লক্ষণাবতীর রাজপ্রাসাদ থেকে নয়, বখতিয়ারের সৈন্যবহরে আঠারোজন সৈন্যই ছিলো বটে তবে তা সিকিমাইল পিছনে ছুটে আসা বিশাল সুসজ্জিত রণবাহিনীর সম্মুখ অংশ হিসাবে। অবশ্য এই তথ্য লক্ষণসেনের ক্ষমতাকে ছোট যেমন করে না তেমনি বখতিয়ারের ঐশ্বর্য্যকেও কমিয়ে দেয় না মোটেও।
একজন ব্যক্তিমানব প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক সাহেব আমাকে খুব নাড়া দিয়ে গেছেন। তাঁর সকল বক্তব্য যে আমি স্বতঃসিদ্ধভাবে মেনে নিয়েছি তা বলবো না কিন্তু একটা মানুষের এতগুলো দিক নিয়ে চিন্তাভাবনা এবং এসবের সকল ব্যাপারেই একটা স্পষ্ট বক্তব্য তৈরী হবার ব্যাপারটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সাহত্যি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, সমাজ-ব্যবস্থা, ধর্ম, রাজনীতি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর সমান জ্ঞান থাকার ব্যাপারটা আসলেই অবিশ্বাস্য। বলাই বাহুল্য, এই প্রচুর জ্ঞান লাভ করতে তাঁকে প্রচুর পরিমান পড়াশোনা করতে হয়েছে।
একটা শিশুর সবচেয়ে বড় শিক্ষাদাতা কে ? নিঃসন্দেহে তার পরিবার। একটা শিশুর জন্যে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা কি? তার ব্যবহার, মূল্যবোধ, আত্মসম্মান। তো আপনি কিভাবে আপনার সন্তানকে এই শিক্ষাগুলো দেবেন? নিশ্চয় উপদেশের ঢং-এ নয়। কারণ সেটাতে একটা শিশু খুব বেশি আগ্রহ পাবে না, আবার সে যে সেগুলো বুঝে তার মর্মটুকু আত্মীকরণ করবে সেটা ভাবাটাও নিছক বোকামী। তাহলে শেখাবেন কিভাবে ? সহজ উত্তর। তার মতো করে, তার যেটা ভালো লাগে সেই উপায়ে।