বইটা বেশ সুন্দর। ছোটখাটো ছিমছাম ধরণের। খুব বেশি প্যাঁচঘোঁচ নেই, তত্ত্বকথাও নেই কোনো। আছে শুধু একরাশ স্মৃতির বয়ান। ইন্দ্রজিৎ-এর জীবনকে একইসাথে বর্তমান আর অতীতে রেখে গল্প বলে যাওয়ার কাজটি দারুণ মুনশিয়ানার সাথে সম্পন্ন করেছেন শীর্ষেন্দু। উপন্যাসের বয়ানেও নতুন আঙ্গিকের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। মূলত উত্তম পুরুষে বর্ণিত হলেও উপন্যাসটির এক পর্যায়ে বিশেষ একটি অবস্থার বর্ণনা করার সময় তৃতীয় পুরুষে বর্ণনা করে গেছেন, কেননা যে মানুষের কথা তিনি বলছেন সে মানুষ আর এখনকার মানুষ এক নয়। ব্যাপারটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। কিছু উপমা ছিল যাকে বলে আউটস্ট্যান্ডিং, যেমন-এমোনিয়ামের গন্ধ এসে নাকে ঘুষি মারা, পায়রার ডানার শব্দে বিস্মৃতির পরত ভেঙে পড়া, কিংবা লজ্জায় মাথা নুইয়ে দেশলাইয়ের নিভে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছু উপমা ছিল চিত্ররূপময়।